ড, ইউনুসের জীবনে কোন আন্দোলনে ছিলেন না
স্টাফ রিপোর্টার:
ড,ইউনুস কোন আন্দোলনেই ছিলেন না সে ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে তার থাকার কথা নয়। যেহেতু তখন তার বয়স কম ছিলো। ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনও বাদ দিলাম। কিন্তু ৫৮ এর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৮ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত তিনি কোথাও নেই।
কিন্তু দেশ স্বাধীনের পরে সে বাংলাদেশে সুধের ব্যবসা করে গরিব দুঃখী মানুষের রক্ত চোষে হাজার হাজার কোটি টাকা ইনকাম করেছে। দেশ ও বাঙালি জাতির জন্য তার উল্লেখযোগ্য কোন অবদান নেই। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতাল অথবা কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠান কোন কিছুই করেনি। শুধু রক্তচোষার মতো গরীব মানুষের সঙ্গে সুধের ব্যবসা করেছে। এখন সে অন্যদেশের নাগরিক। অনেক বছর আগে দেশ ছেড়ে গেলেও এদেশের গরীব মানুষের সঙ্গে সুধের ব্যবসা কিন্তু ঠিকই চালিয়ে গেছে। এতো বছর সুধের ব্যবসা করার পরও সে নিজের ৬৬৬ কোটি টাকা কর মওকুফ করেছে। যে টাকা দেশের ও দেশের মানুষের টাকা। তারপর গ্রামীণ ব্যাংকের কর অব্যাহতি। এরপর গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির অনুমোদন, গ্রামীণ টেলিনরের সঙ্গে স্টারলিংকের ব্যবসা। গ্রামীণ থেকে জনশক্তি রপ্তানি করার অনুমোদন নিয়েছে। গ্রামীণ ওয়ালেট তো আছেই। ভেজাল শক্তি দইয়ের মামলাও খারিজ। অথচ দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কিছু না করেও সে আজ বাঙালি জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। বাঙালি জাতিকে শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের থেকে রক্ষার নামে মেটিকুলাস ডিজাইন করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে ক্ষমতা দখল করেছে। ক্ষমতা দখল করেই সে দেশের সমুদ্রবন্দর বিদেশিদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে, বিমানবন্দর বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে, কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনও বিদেশিদের পরিচালনা করতে দেয়া হবে বলে নিউজ বেরিয়েছে। সেন্টমার্টিন ভাড়া দিয়েছে সেখানে আমেরিকার প্রজেক্টের কাজ চলমান। এখন আমেরিকা সেখানে যা ইচ্ছে করবে। কথিত মানবিক করিডোর আমেরিকা দিবে। এবং দেশের গ্যাস সম্পদও বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে বদ্ধপরিকর। আসলে ৫ আগস্টের পর যারা দেশের শাসনব্যবস্থায় চেপে বসেছে এদের অনেকেই বিদেশি নাগরিক। দেশ বিক্রির আর বাকি থাকলো কোথায়? এখন বড়জোর হাত বদল হতে পারে। এছাড়াও তার কাছে গ্রামীণ সিমের রাজস্ব বাবদ রাষ্ট্রের পাওনা সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বেশি। যা সে না দিয়ে, মামলা বানিয়ে ফেলে রেখেছে। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে মেগা প্রোজেক্টসহ সবই করতে পারে, সেটা শেখ হাসিনা করেও দেখিয়েছে। কিন্তু, বাংলাদেশের সব লাভজনক সেক্টর দিয়ে দেয়া হয়েছে বিদেশিদের; আর তার সহযোগি ঠিকাদার হচ্ছে এনজিও তথা ইউনূসগং! এইজন্যই হাজার হাজার মানুষের লা’শ তারা ফেলেছে এবং এখনো তারা লাশ আর দেশ ধ্বংসের খেলায় মাতোয়ারা। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায় এমনভাবে তারা নাশকতা চালাচ্ছে। কারণ, এতে দেশে দরিদ্রতা বাড়বে। দরিদ্র লোক বাড়লেই তাদের সো কল্ড ‘সামাজিক ব্যবসা’ জমে উঠবে। পুরো দেশটাই এখন তার আগুনে জ্বলছে। আর কতো এভাবে হাতগুটিয়ে বসে থাকবেন? পুরো দেশটা জ্বলেপুড়ে আঙ্গার হওয়া পর্যন্ত? নাকি পুরোপুরি ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত? শুনেছি বাঙালির দেয়ালে পিঠ ঠেকলেই ঘুরে দাঁড়ায়! কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকার আগেই কেন ঘুরে দাঁড়ায় না? এখনো সময় আছে আসুন ইউনুসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলি। দেশটাকে বাঁচাই। দেশটাতো আমাদের সকলের এই আত্ননাদ একজন সাংবাদিকের