আন্তঃক্যাডার প্রশাসনে বৈষম্য নিরসনের দাবীতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ দেবীদ্বার (কুমিল্লা) থেকে/
ফেসবুকে লেখালেখির কারণে ২৫ ক্যাডার প্রশাসনের ১৩ জন কর্মকর্তাকে দেয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে (জরুরি সেবা ছাড়া) সব ধরনের সেবা প্রদানে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
রোববার (২ মার্চ) দুপুর ১২ টায় দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আন্দোলনরত স্বাস্থ্য ক্যাডারগন পূর্ণ দিবস কর্মবিরতী পালন করাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কবির হোসেন বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে লেখালেখির মতো তুচ্ছ কারণে ২৫ ক্যাডারের ১৩ জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ধরনের কাজ ‘প্রশাসন’ ক্যাডারের সদস্যরা করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়না। তিনি ক্ষোভের সাথে আরো বলেন, একজন প্রশাসনিক ক্যাডারের জন্য ৯ জন আনসারসহ অনেক জনবল থাকে, অথচ একই র্যাংকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা সরকারি কলেজের শিক্ষকের জন্য একজন পিওনেরও ব্যবস্থা নেই।
ডাঃ মেহেদী হাসান ইয়াহিয়া বলেন, বৈষম্যপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ২৬ ক্যাডারের মধ্যে,- মাত্র ১টি ‘প্রশাসন ক্যাডার’ বাকী ২৫ ক্যাডারের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ্য করতে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান না পেলে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
ডাঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে ২৫টি ক্যাডারের পক্ষ থেকে পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং উপসচিব পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকেও সিভিল সার্ভিসে পেশাদারিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডাঃ তন্ময় সরকার বলেন, জনদাবিকে উপেক্ষা করে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ক্ষমতাধর একটি গোষ্ঠীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধির প্রয়াস লক্ষ করা গেছে। এই প্রতিবেদন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে এবং প্রশাসনিক ফ্যাসিজম আরও শক্তিশালী হবে। আমরা শুধু মাত্র বৈষম্যের অবসান চাচ্ছি।
ডাঃ রবিউল হাসান বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারবহির্ভূত করার প্রস্তাব থেকে সরে এসে সুকৌশলে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা রাখা হয়েছে। যেন ধীরে ধীরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে মূলধারা থেকে বের করা যায়। এ ছাড়া পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারের বিষয় সংস্কার প্রস্তাবে না রাখা এবং পরিসংখ্যান ক্যাডারকে অযৌক্তিকভাবে সার্ভিসের বহির্ভূত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর ফলে এসব সেক্টরগুলো মেধাশূন্য হয়ে পড়বে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনিন রায় জানান, আমি দাপ্তরিক কাজ থেকে বিরত রয়েছি। তবে অন্যান্য প্রশাসনিক কাজগুলোর সাথে যুক্ত রয়েছি।
উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তারিক আজিজ রিগান বলেন, দেবীদ্বারে আমাদের সংগঠন নেই, তাই সামনে প্রচুর অসুস্থ্য হাস-মুরগী, গরু, ছাগল নিয়ে কৃষকরা উপস্থিত তাই তাদের সেবা দিচ্ছি।