কয়েক ঘন্টা পর শুরু হবে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার কুমিল্লাঃ
মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাদে কুমিল্লার টাউন হল মাঠে শুরু হবে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশ। সমাবেশের অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীরা নেচে গেয়ে সময় পার করছেন। এদিকে মঞ্চ তৈরির কাজও প্রায় শেষ।
সরেজমিন শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দেখা যায়, টাউনহল মাঠের কোণে কনসার্ট চলছে। সেখানে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) শিল্পীরা গান গাইছেন।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা থেকে আসা যুবক আবদুর রহমান, জিলানি, আক্তার হোসেন ও জামিল আহমেদ বলেন, ‘গ্রামের খুব কম নেতাকর্মী এলাকায় আছেন। বেশির ভাগই কুমিল্লায় চলে এসেছেন। আমাদের বাকি নেতাকর্মীরা ভোররাতে আসবেন। আমাদের আমাদের নেতা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’
সমাবেশের অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীরা নেচে গেয়ে সময় পার করছেন
চাঁদপুরের শাহাবুদ্দিন বিকালে এসেছেন সভাস্থলে। গভীর রাতেও জেগে আছেন। তার ইউনিয়ন থেকে প্রায় হাজার খানেক নেতাকর্মী এসেছেন। মঞ্চের পাশে বসে উপভোগ করছেন দেশাত্মবোধক গান।
এদিকে মাঠের পশ্চিম পাশে ঘুমাচ্ছে নেতাকর্মীদের একটি অংশ। আর তার সামনে পায়চারি করছেন কিছু নেতাকর্মী।
কুমিল্লার বরুড়া থেকে আসা বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম, জলিল, ফারুক ও ছাত্রদল নেতা আরিফ জানান, সাবেক এমপি জাকারিয়া তাহের সুমনের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে ট্রাকের একটি বহরে তারা কুমিল্লায় এসেছেন। রাতের খাবার শেষ করে মঞ্চের পাশেই অবস্থান করেছেন। মঞ্চ প্রস্তুত থাকলেও মুক্তির ভাষণ শোনা ছাড়া তারা মাঠ ছাড়বেন না।
নোয়াখালী থেকে আসা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, তাদের বহু নেতাকর্মী কুমিল্লা শহরে আছেন। প্রায় চার হাজার নেতাকর্মী মাঠেই আছেন এখন। খাবার খেয়ে অনেকে ঘুমাচ্ছেন অনেকে কনসার্টে গান শুনছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা ৫৬ বছরের সুলতান মিয়া বলেন, ‘দুই দিন ধরে মাঠে। বিএনপি করি বহুদিন। দলের মায়া কীভাবে ছাড়ি। তা ছাড়া ভাতিজা আর নাতিরাও এসেছে। ঠান্ডায় একটু সমস্যা হইতেছে। কিন্তু মাঠ ছেড়ে যাবো না।’
দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ না, বহু দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য জনতার জন্য জেল খেটেছেন। নেত্রী যে বিনা কারণে জেলে আছেন তা দেশের মানুষ জানে। সরকারকে বলতে চাই, ভালোয় ভালোয় গদি ছাড়েন, ১০ তারিখের পর কুল পাবেন না।’
কিছু নেতাকর্মীকে ফেসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ এবং ভিডিও সম্প্রচার করতে দেখা গেছে। তাদের একজন মিজানুর রহমান। লাইভে থাকায় তিনি কথা না বললেও ইশারায় বুঝিয়েছেন, নেতাকর্মীরা মাঠে ঘুমাচ্ছেন তা ভিডিও রাখছেন, যেন পরে নেতাদের দেখাতে পারেন।
রাত ১২টায় মঞ্চের কাজ পরিদর্শনে আসেন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ নেতাকর্মীরা।