দেবিদ্বারে নারীকে হত্যা রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ১
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের নির্জন বাড়িতে খুন হওয়া মাজেদা বেগম (৬০) হত্যারহস্যের জট খুলেছে পিবিআইর তদন্তে। ক্লুলেস এই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে সাত দিনের মধ্যে প্রধান আসামি রনিকে (২২) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে লুট হওয়া স্বর্ণালংকারও।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, আলোচিত এই মামলাটি ছিল একেবারেই ক্লু-লেস। আমাদের পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার স্যারের দিকনির্দেশনায় আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করি। মামলার তদন্ত শুরুর মাত্র সাত দিনের মধ্যে সোমবার বিকেলে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যায় জড়িত জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানি গ্রামের মিজানের ছেলে মো. রনিকে (২২) গ্রেপ্তার করি। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুরো হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুট হওয়া স্বর্ণের কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে রনি পিবিআইকে জানিয়েছে, তারা তিনজন মিলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ওই নারীর জমি বিক্রির টাকা লুট করা। কিন্তু ঘরে কোনো টাকা ছিল না। আর তারা অনেকগুলো গয়না লুট করলেও কানের দুল ছাড়া সব ছিল ইমিটেশন। কানের দুল সাড়ে আট হাজার টাকায় বিক্রি করে তারা। এর মধ্যে রনি ভাগ পায় দুই হাজার ৬০০ টাকা। বাকি টাকা অপর দুজন ভাগ করে নেয়।
হত্যার সময় মাজেদা নিজেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। তিনি ঘাতক রনির আঙুলে কামড় দিয়েছেন। রনির আঙুলে সেই দাগও পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান আরো বলেন, মামলার অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রনিকে মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পঞ্চাশোর্ধ্ব মাজেদা বেগম নামে এক গৃহবধূর পা বাঁধা ও কাদাযুক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় দেবীদ্বার উপজেলার ৬ নম্বর ফতেহাবাদ ইউনিয়নে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, মামলার তদন্ত শেষে দ্রুত আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হবে।