কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু অভিযোগ;লাখ টাকার মাধ্যমে রফাদফা!
মুহা: শরীফ সুমন ।।
কুমিল্লা আল-নূর হসপিটালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ১৭ মাস বয়সের শিশু নূর মোহাম্মদ মারা গেছে এমনটাই অভিযোগ নিহত শিশু পরিবারের। থামছে না পরিবারের আহাজারি আর কান্নার রোল । ঘটনাটি ঘটে (২ সেপ্টেম্বর ২০২৩) শনিবার সন্ধ্যায়।পরের দিন রবিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৩৩ ঘন্টার পর শিশুর লাশ রফাদফা মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে যায় ভুক্তভোগী পরিবার।
নিহত শিশু নূর মোহাম্মদ বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মো.সবুজ মিয়ার ছেলে।তার নানার বাড়ি বাকশীমূল উত্তরপাড়া।
কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও আল-নূর হসপিটালের সামনে লাশবাহি গাড়ীতে রবিবার সন্ধ্যায় ৭টা পর্যন্ত শিশুর লাশ ছিল।
ঘটনার বিষয়ে কর্তব্যরত কোন চিকিৎসকের সরাসরি বক্তব্য না পাওয়া গেলেও জেলা সিভিল সার্জন কার্য্যালয় বলছে অভিযোগ পেলেই নেয়া হবে ব্যবস্থা। বলছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা:নাজমুল আলম ।
শনিবার সকাল ১০ প্রস্রাবের রাস্তার সমস্যা হলে মোঃ হেলালের মাধ্যমে কুমিল্লা আল-নূর হসপিটালে ভর্তি করান একমাত্র ছেলে নূর মোহাম্মদকে। ডাক্তার বলেছে অপারেশন করলে সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে তাই রাতে অপারেশনের জন্য অগ্রিম দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা।
অপারেশনে সময় ডাক্তার দেবাশীষ চক্রবর্তী একটি ইনজেকশন দিলে শিশু নূর চোখ বন্ধ করলে আর খুলেনি। এমটাই অকপটে স্বীকার করে নিহতের স্বজনরা।ওই রাত সাড়ে নয়টায় ডাক্তার জানায় শিশু নূর মোহাম্মদ মারা গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন জানান- ডাক্তারা অপরেশন করেছে তা ডাক্তার বলতে পারবে। আমরা কিছু বলতে পারি না। তবে নিহত শিশুর মা তানিয়া আক্তার জানান,আমার শিশু ছেলেকে তারা ভূল চিকিৎসায় মেরে ফেলেছে।আমরা ৯৯৯ কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্ত করে যায়।
এদিকে শিশুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা ঘটনাটি দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে ধামাচাপা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে সচেতন নাগরিকরা বলছেন একটি শিশু লাশের মূল্য কি দেড় লক্ষ টাকা। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের অবেহেলা নিয়ে সমালোচনা চলছে সর্বত্র।