বাকশীমূলে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদাণ উপলক্ষে ওয়াজ মাহফিল।
মুহাঃ-শরীফ সুমন (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
যে বয়সে কোন বালাই নাই, সে বয়সের ছেলেদের বড় আয়োজন করে হাতে পুরস্কার আর মাথায় পাগড়ি এমন পরিবেশ উপস্থিত সকলকে পুলকিত করেছে। শুধু তাই নয়, মনমুগ্ধকর পরিবেশে ক্রমান্বয়ে ছয় কোরআনে হাফেজ’র দস্তারবন্দীতে বিমোহিত হয় অনুষ্ঠানস্থল। কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর এমন স্বীকৃতি পেয়ে তাঁদের চোখ-মুখ ছিল আনন্দের ঝিলিক। এ দৃষ্টিনন্দন আবহটি তৈরী হয় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল দক্ষিণ পাড়া আহম্মদিয়া হাফেজিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সে।
(১০ মার্চ ২০২৩) শুক্রবার রাতে যুব সমাজ উদ্যোগে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান উপলক্ষে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে বাকশীমূল দক্ষিণ পাড়া ঈদগাঁহ কেন্দ্রীয় ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকশীমূল দক্ষিণ পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ খতিব বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা মোঃ আশিক উল্লাহ সভাপতিত্বে ও বুড়িচং মডেল একাডেমি প্রধান শিক্ষক মো: কবির হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব সাজ্জাদ হোসেন।প্রধান বক্তা ছিলেন
নাগাইশ দরবার শরীফের পীর মাওলানা মোশতাক ফয়েজী,বিশেষ বক্তা ছিলেন হাফেজ ওবায়দুস সুবহান মামুন সাঈদী,কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক হযরত মাও: মোল্লা আল আমিন শিল্পী,প্রধান মুহতামিম ছিলেন বাকশীমুল দক্ষিণ পাড়া আহম্মদিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্স হযরত মাওলানা হায়েজ ওমর ফারুক। ওয়াজ মাহফিলে ৬ জন হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান করা হয়।তারা হলেন আবদুল্লাহ, ইব্রাহীম,শাকিল আহমেদ,ইব্রাহীম বিন আনোয়ার,জুন্নুন মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ্ আল এহসান।১৯৯০ সালে আহম্মদিয়া হাফেজিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সেও স্থাপিত হয়।মাহফিল আয়োজনে ছিলেন হাজ্বী মনির,আবুল বাশার,রনি,রফিকুল ইসলাম,গিয়াস উদ্দিন,আল আমিন,মোঃ মোশাররফ হোসেন,মনির মেম্বার,কাশাদুল সহ আরো অনেকে।সহযোগীতায় ছিলেন,হারিছ,কাদের,সোহাগ, নবী,রাসেদ,প্রমুখ।কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ ইব্রাহিম।