কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশে রুমিন ফারহানাসহ অর্ধশত নেতাকর্মীর মোবাইল ফোন চুরি
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর
আজগর হোসেন কুমিল্লাঃ
কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরুর আগে হাজির হওয়া নেতাকর্মীদের অর্ধশতাধিক মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নগরীর টাউনহল মাঠে সমাবেশ শুরুর আগে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠ থেকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার মোবাইল ফোন চুরি হয়। প্রথমে হারিয়ে গেছে বলে সন্দেহ করা হলেও একের পর একই ঘটনা ঘটে। ফলে মোবাইলগুলো চুরি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়েছে বলে শনিবার সকালে জানান রুমিন ফারহানার ব্যক্তিগত সহকারী শুভ্র।
শুভ্র জানান, শুক্রবার রাত ৯টায় কুমিল্লা বিভাগীয় সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠে যাওয়ার পর কোনো একসময় তার ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোনটি চুরি হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে বিষয়টি অনুমান করতে পেরে রুমিন তার ব্যাগ খুলে দেখেন। তবে মোবাইল ফোন ছাড়া অন্য কিছু খোয়া যায়নি।
মোবাইল ফোন চুরির বিষয়টি রুমিন ফারহানা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে জানান। সাক্কু বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি সেখানে হ্যান্ডমাইকে সবাইকে জানিয়ে দিই। কেউ যদি মোবাইল ফোনটি ফেরত দেন তাকে পুরস্কৃত করা হবে। তবে ফেরত আসেনি ফোনটি।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা বিএনপিকর্মী মো. আশিক বলেন, সমাবেশ শুরুর সময় আমি মঞ্চের সামনেই ছিলাম। হঠাৎ করে দেখি আমার মোবাইলটা নাই। আমার এক হাতে পতাকা আরেক হাতে ফেস্টুন ছিল। এ সুযোগে চোরের দল আমার মোবাইলটা নিয়ে যায়।
চান্দিনা থেকে আসা বিএনপির কর্মী সালেক মিয়া বলেন, আমি টাউনহলে এসে স্লোগান দিচ্ছিলাম। ছবি তোলার জন্য পকেটে হাত দেই। দেখি আমার মোবাইলটা নেই। আমার ছোট ভাই দুবাই থেকে পাঠিয়েছিল ফোনটি। মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মামুনের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গেছে।
চাঁদপুর থেকে আসা বিএনপিকর্মী আবুল কালাম বলেন, আমার মোবাইলটা খুব দামি না। আমি যখন হাততালি দিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম তখনই কে যেন পকেটে হাত দিল। এক সেকেন্ডের মধ্যেই পকেটে হাত দিয়ে দেখি মোবাইলটা গায়েব।
সমাবেশ আসা অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী জানান, স্লোগান-মিছিল করার সময় অর্ধশতাধিক মোবাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, শুক্রবার রাত থেকেই মোবাইল চুরির ঘটনা শুরু হয়। আজ সমাবেশ শুরুর আগেই এমন অবস্থা। সমাবেশ শেষে এ নিয়ে কথা বলবো।