কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী অপহরণ
সহিদুল ইসলাম সাকিব
কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নুরুন নাহার সামিয়া (১৫) কে অপহরণ করা হয়েছে। গত ৩ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার সময় কুমিল্লা সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। এ ঘটনায় অপহৃতার পিতা মো: মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে গত ১৫ মার্চ কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার নং ৬৭ দ্বারায় আসামীরা হলো- দৌলতপুর ভূইয়া বাড়ীর ফারহাদ আহাম্মেদ ভূইয়ার পুত্র সাজ্জাদ হোসেন ভূইয়া বিজয় (৩০), ফরহাদ আহম্মেদ ভূইয়া (৫০), ফারহাদ আহম্মেদ ভূইয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার (৩৫)সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন।
ওই মামলা থেকে জানা যায়- নুরুন নাহার সামিয়া তার বাড়ি দৌলতপুর থেকে প্রতিদিন স্কুলে আসা যাওয়া করতো। সামিয়াকে প্রতিদিন স্কুলে আসা যাওয়ার সময় উত্যক্ত করতো এবং বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে মানসিক নিপীড়ন করে আসছিল। পরে আসামী বিজয়কে উত্যক্ত থেকে বিরত থাকার জন্য মাসুদ নির্দেশ দিলেও কোন কাজ হয়নি। পরে বিজয়ের পিতা ও মাতাকে বিষয়টি জানালে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টো সামিয়াকেসহ তার পরিবারের লোকদেরকে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। পরে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালেও কোন কাজ হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ মার্চ ২২ সামিয়া স্কুলে যাওয়ার সময় সকাল সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুরের পরও সামিয়া বাড়িতে ফিরে না আসায় মেয়ের সন্ধানে তার পিতা মাসুদ বিজয়ের বাড়িতে গেলে গেলে সেখানে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সামিয়াকে সিএনজির মাধ্যমে ফরহাদ ও সালমা জোড়পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরী ও পরে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সামিয়ার পিতা মাসুদুর রহমান জানান- আমার নাবালিকা মেয়েকে ফরহাদ ও সালমা সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন মিলে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে গেছে। আজ প্রায় ১৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমার এলাকার বিজয় একজন বখাটে ও মাদক সেবী। সে আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করতো। আমার মেয়ে এতে সারা না দেয়ায় তাকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। তিনি আরও বলেন- কোন কেহ তার মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে কিংবা খোঁজ দিতে পারেন তাহলে তাকে উপযুক্ত পুরস্কারের ঘোষণা দেন।