সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানাতে নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার ও ডিআইজি গ্রেফতার কুমিল্লা বুড়িচং মাশরায় মাদক সন্ত্রাস ও বাল্যবিবাহ বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের মধ্য দিয়ে তারুণ্যের উৎসব কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু জুতার মালা গলায় পড়িয়ে লাঞ্ছিত খাজা মইনুদ্দিন চিশতির  মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবেনা কুমিল্লা বুড়িচং ফকির বাজার ইসলামিয়া ছুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসায় কৃতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিদায় সংবর্ধনা কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলায় মাদক বিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৮ জন যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের দুদিনের রিমান্ড কুমিল্লায় সাংবাদিক মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

লিবিয়া মরুর সিংহ পরুষের শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৫৭৪ Time View

আজ ১৬ সেপ্টেম্বর। লিবিয়ার ওমর আল মুখতার। যাকে বলা হতো মরুর সিংহ। আজ তাঁর শাহদাত বার্ষিকী।

তিতাস প্রতিনিধিঃ
এখন থেকে ৮৭ বছর আগে ১৯৩১ সালে তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে ইতালীয়রা।

১৯১১ সালের অক্টোবর মাসে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সঙ্গে ইতালির যুদ্ধের সময় ইতালির নৌবাহিনী হানা দেয় লিবিয়ার উপকূলে। সে সময় লিবিয়া ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ। ইতালিয়রা লিবিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু তুর্কি সেনারা ও তাদের লিবিয় সহযোগীরা আত্মসমর্পণের পরিবর্তে উপকূল ছেড়ে পেছনের দিকে সরে আসেন।

ইতালিয় হানাদার বাহিনী তিন দিন ধরে ত্রিপলি ও বেনগাজিতে বোমা বর্ষণ করে। এরপর লিবিয়া দখলে নিয়ে নেয়।

লিবিয়ার সাইরেনাইকা অঞ্চলের জনগণ ওমর মুখতারের নেতৃত্বে একের পর এক প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকেন। মরুভূমির লড়াইয়ে অভিজ্ঞ ওমর মুখতার হয়ে ওঠেন ইতালিয় সেনাদের জন্য চক্ষুশূল। অবশেষে ২০ বছর পর ১৯৩১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এক অতর্কিত হামলায় আহত ও বন্দি হন মুখতার। ৫ দিন পর আতঙ্কগ্রস্ত ইতালিয় দখলদাররা তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করে।

ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে জানা যায় মরুর সিংহ নামে খ্যাত ওমর মুখতারকে মুসোলিনির ইটালিয়ান সেনা অফিসার জিজ্ঞেস করেছিল: তুমি কি জান তোমার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড?

জবাবে ওমর মুখতার বলেছিলেন, হ্যাঁ।

ওই অফিসার বললেন, তুমি যা করেছ তার জন্য তুমি কী অনুতপ্ত?

ওমর মুখতার বললেন, প্রশ্নই হয় না, আমি আমার ধর্ম, দেশ আর মানুষের জন্য লড়েছি।

সেনা আদালতের বিচারক তার দিকে তাকিয়ে বলে, তোমার মত লোকের এমন পরিণতি দেখে আমি দুঃখিত।

ওমর মুখতার বললেন, “কিন্তু এটাই তো জীবন শেষ করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ তিনি আমাকে এভাবে বীরের মত শহীদ হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।”

এরপর বিচারক প্রস্তাব দিল তাকে মুক্ত করে দেয়া হবে যদি তিনি মুজাহিদদের কাছে চিঠি লেখেন যাতে মুজাহিদরা ইটালিয়ানদের সাথে যুদ্ধ বন্ধ করে। ওমর মুখতার বিচারকের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন:

“যেই শাহাদত অঙ্গুলি দিয়ে আমি প্রতিদিন সাক্ষ্য দেই যে এক আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই। সেই আঙ্গুল দিয়ে অসত্য কোনো কথা লিখতে পারবো না। আমরা এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে আত্মসমর্পণ করি না। আমরা হয় জিতি, না হয় মরি।”

মহান আল্লাহ তায়ালা বীরশহীদ ওমর আল মুখতারকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে স্থান করে দিন, আমীন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 dailysomoyarbangladesh.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin