তিতাসে হত্যা চেষ্টা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হত্যার হুমকি
তিতাস(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আল-আমিন (২২) ও আরিফুল ইসলাম সোহেল (২৭) নামে দুই যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা তুলে দিতে বাদীকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে ভিকটিমদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি ও পরিকল্পনাকারী কথিত ছাত্রলীগ নেতা মু. হেলাল উদ্দিন ও কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার এর ভাতিজা শাওন ও খাইরুল ফেইসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে। মামলা তুলে না নিলে যেখানে পাবে, সেখানেই হত্যা করবে আমাদের জানান কালাচান্দকান্দি গ্রামের উত্তর পাড়ার আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে
শেখ রাসেল ও আরিফুল ইসলাম সোহেল। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রকাশ্যে আহত দুই যুবকের গ্রামে মহড়া দিচ্ছে বলেও জানান তারা। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনযাপন করছি। কখন কাকে মেরে ফেলে তা বলা মুশকিল। শেখ রাসেল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন,আমার চাচাতো ভাই আহত আল আমিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
উল্লেখ্য আগস্ট মাসের ৬ তারিখে পরিকল্পনাকারী হেলালকে প্রধান আসামি করে তিতাস থানায় ১১ জনের নামে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেছে আরিফুল ইসলাম সোহেল। যাহা তিতাস থানার মামলা নং-৪। সেই মামলাটি তুলে নিতেই চাপ প্রয়োগ করছে হেলাল-বাহার বাহিনী।
উল্লেখ্য,গত বুধবার রাত আনুমানিক ৭ টার দিকে আহত আরিফুল ও আল-আমিনসহ ৩০/৪০ জন যুবক পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর বটতলী মাঠ থেকে ফুটবল খেলা শেষে পিকআপ যোগে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের খানেবাড়ি গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছলে কালাচান্দকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর গংরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা এবং সংঘবদ্ধ দলটি বাদী আরিফুল ইসলাম সোহেল ও আল-আমিনের গতিরোধ করে । এ সময় আল-আমিন আত্মরক্ষার জন্য দৌড়ে উত্তর মানিকনগর এরশাদ মিয়ার বাড়িতে পৌঁছলে তারাও পিছু ছুটে এবং ওই খানেই সংঘবদ্ধ দলটি আরিফুল ও আল-আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তিতাস থানার সেকেন্ড অফিসার মধুসুদন সরকারের মোবাইল ফোনে কল করে হুমকির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাকে কেউ এখন পর্যন্ত বলে নাই যে তাদেরকে মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি দিচ্ছে। যদি এমন অভিযোগ আসে তাহলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।