
কুমিল্লা বরুড়ায় নিরাপত্তাহীনতা বৈশাখী টিভির পরিবার
বরুড়ায় নিরাপত্তাহীনতায় সাংবাদিক পরিবার
বরুড়া প্রতিনিধিঃ
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার বরুড়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুঁগছেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখী টিভির সাংবাদিক অজিত সরকারের পরিবার।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার বরুড়ার বড় হরিপুর (হিন্দুপাড়া) গ্রামের মন্টু চন্দ্র দাশ ও তার সন্তানদের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে মন্টু চন্দ্র দাশের ভাই প্রয়াত শ্রীদাম চন্দ্র দাশের ছেলেদের। জীবিত থাকাকালীন শ্রীদাম চন্দ্র দাশ তার স্ত্রীকে পৈত্রিক সম্পত্তির ৯ শতক জায়গা রেজিস্ট্রি করে দিয়ে দেন। এরপর শ্রীদাম চন্দ্রের মৃত্যুর পর তার ছেলেরা মন্টু চন্দ্র দাশের প্রায় অর্ধেক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে করে নেয়। তারা কৌশলে মন্টু চন্দ্র দাশের পৈত্রিক সম্পত্তির সকল দলিলাদি নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে নিজ পিতা শ্রীদাম চন্দ্র দাশের নামে দেড় শতক সম্পত্তি গোপনে খারিজ করে নেয়। গত ২৫ শে জুলাই শ্রীদাম চন্দ্রের ছেলেরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সম্পতি দখল করতে গেলে মন্টু চন্দ্র দাশের বড় ছেলে সনজিত চন্দ্র দাশ ও বাড়ির অন্যরা প্রতিবাদ করে। এসময় সনজিত চন্দ্র দাশকে কুঁপিয় গুরুতর আহত করে তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অবস্থার অবনতি হলে পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলায় সনজিত চন্দ্র দাশের মাথায় গুরুতর জখম ও পায়ের দুটি রগ কেটে যায়। এর আগেও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে একাধিকবার মন্টু চন্দ্র দাশের পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয় প্রয়াত শ্রীদাম চন্দ্রের ছেলেরা। মন্টু চন্দ্র দাশের দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে বাড়িতে থাকে অন্য ছেলে চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকে।
এ বিষয়ে সনজিত চন্দ্র দাশের স্ত্রী মিতা রানী সরকার বাদী হয়ে মৃত. শ্রীদাম চন্দ্রের ছেলে সুমন চন্দ্র দাশ (১ নং আসামি), ভজন চন্দ্র দাস (২ নং আসামি) ও বিকাশ চন্দ্র দাসকে (৩ নং আসামি) অভিযুক্ত করে বরুড়া থানায় ৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০ মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় বরুড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভজন চন্দ্র দাশকে আটক করে।
এ ব্যাপারে বরুড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক অশোক শীল বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ভজন চন্দ্র দাশ নামে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি।’
বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ‘ এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন। তার মধ্য থেকে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বাকীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
এদিকে, গ্রেফতারকৃত ভজন চন্দ্র দাশ (২ নং আসামি) জামিনে বের হয়ে এসে নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। তারা আবারো সন্ত্রাসী হামলার আশংকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুঁগছেন জানিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে অবিলম্বে বাকি আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।